নিজস্ব প্রতিবেদক:
জনগনের চলাচলের জন্য ফুটপাতের কিছু অংশ উন্মুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ অনুরোধ জানান।
এ সময় তিনি বলেন ফুটপাত এখন আর সাধারন জনগনের চলাচলের উপযুক্ত অবস্থায় নেই। ফুটপাত দখল করে ব্যবসা বাণিজ্য করা এখন নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।
সম্প্রতি ফুটপাত ছাপিয়ে সে দখল রাস্তা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। নগরীর অধিকাংশ ফুটপাতেই এখন আর হাটার পরিবেশ নেই। বিভিন্ন কায়দায় সে ফুটপাত এখন নানা ধরনের হকারের দখলে। প্রতিনিয়ত ফুটপাত দখল করে কাপড়-চোপড়, জুতা-সেন্ডেল, ফল-মুল, খাবারের দোকানসহ নানারকম পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানীরা। কোন কোন জায়গায় ফুটপাতের ওপর ভ্যান-ঠেলাগাড়ী, রিকশা অথবা মটরসাইকেল পার্কিং করে রাখা হয়। আবার কোন কোন ফুটপাতের উপর স্তুপ করে রাখা হয় ভবন নির্মাণের সামগ্রী।
আবার কিছু কিছু ডেভেলপারদের ইমারত নির্মাণের কর্মযজ্ঞ চালানোর জন্য ইট, বালু, রড, সুরকি, লোহার গ্রিল ও অন্যান্য সামগ্রী রাখার জন্য ফুটপাত ও সামনের রাস্তাটুকুই একমাত্র স্থান। মাঝেমধ্যে বিকট শব্দে ফুটপাতের উপর মেশিন চালিয়ে খোয়াও ভাঙ্গতে দেখা যায়। কোথাও আবার ইট-বালু-সুরকীর স্তুপ করে ব্যবসা করা হচ্ছে প্রকাশ্যে।
এতে করে স্বাভাবিকভাবে কেউ আর ফুটপাত দিয়ে হাটা-চলা করতে পারছে না। ফলত পথচারীদের ফুটপাত বাদ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়েই হাঁটতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার ফুটপাত সংলগ্ন রাস্তাও দখল করা হয়েছে। রাস্তার অর্ধেকাংশ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রাইভেটকার-মাইক্রো কিংবা রিক্সা অথবা খাবারের টং দোকান, ভ্যানের ওপর সবজিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদির বিকিকিনি। আগে দিনের একটি সময়ে ফুটপাতে বেচা-বিক্রি চললেও এখন সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় ফুটপাত দখলের প্রক্রিয়া। এভাবে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ পথচারীরা।
অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটছে। ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ার ফলে সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশদের। রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলার ফলে অযথা সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। আর রাস্তা সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় যানজটের মাত্রাও বেড়েছে অনেকাংশে। অফিস পাড়ায় সে সমস্যা আরো বেশি প্রকট আকার ধারণ করে অফিস ছুটির পর।
তাই এ অবস্থায় সাধারণ জনগন কিভাবে স্বস্তিতে চলাচল করবে সে প্রশ্ন আজ সকলের মুখে মুখে। তিনি জনগনের চলাচলের জন্য ফুটপাতের কিছু অংশ উন্মুক্ত রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
নচেৎ ফুটপাতের পরিবর্তে রাস্তায় হাটাচালার নাগরিক দুর্ভোগের কারণে যদি কোন প্রকার দুর্ঘটনা কিংবা প্রাণহানির ঘটনা ঘটে তার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন সুজন।